Description
শাইখ হযরত মাওলানা ফরিদুদ্দীন আত্তার (রহ.)-এর কালজয়ী রচনা “তাজকিরাতুল আওলিয়া” আধ্যাত্মিকতার পথে আলোকবর্তিকা হয়ে রয়েছে। ৫৫৫ হিজরিতে রচিত এই অনন্য গ্রন্থে আত্তার রহ. প্রায় শ-খানেক ওলি-আল্লাহর জীবনী ও কারামত সংকলিত করেছেন, যাঁরা ছিলেন আল্লাহর প্রিয় বন্ধু। তাঁদের পবিত্র জীবনগল্পে মানবজাতি খুঁজে পায় আত্মশুদ্ধির দিশা, আল্লাহর প্রতি নিবেদন এবং জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সন্ধানের অনুপ্রেরণা।
মুফতি শামসুল হকের ভাষান্তরে ২ খণ্ডে রচিত এই গ্রন্থে প্রতিটি জীবনী অত্যন্ত শৈল্পিক ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় উপস্থাপিত। জীবনীগুলো শুধু ঐতিহাসিক তথ্য নয়, বরং আধ্যাত্মিকতার গভীর সুর, পরম ধ্যান এবং মানব জীবনের উন্নতির বার্তা বহন করে। শাইখ ফরিদুদ্দীন আত্তার (রহ.)-এর লেখনীতে ও মুফতি শামসুল হকের ভাষান্তরে প্রতিটি কাহিনী জীবন্ত হয়ে ওঠে, যা পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখে এবং তাঁদের অন্তরে আল্লাহপ্রেম ও আত্মিক উন্নয়নের প্রেরণা জাগিয়ে তোলে।
কালের পরিক্রমায় “তাজকিরাতুল আওলিয়া” বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে, তবে কিছু অনুবাদে মূল কিতাবের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য ও অতিরিক্ত নাম সংযোজিত হয়েছে। এর ফলে মূল রচনার বিশুদ্ধতা কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তবে মুহাম্মদী কুতুবখানা থেকে প্রকাশিত বর্তমান সংস্করণটি মূল গ্রন্থের সাথে মিল রেখে সঠিক ও নির্ভুল ভাষান্তর উপস্থাপন করেছে। এটি মূল রচনার মৌলিকত্ব বজায় রেখে পাঠকদের কাছে শাইখ ফরিদুদ্দীন আত্তার (রহ.)-এর আধ্যাত্মিক দর্শনকে যথাযথভাবে পৌঁছে দিয়েছে।
“তাজকিরাতুল আওলিয়া” গ্রন্থটি আধ্যাত্মিকতায় নিমজ্জিত হৃদয়ের জন্য এক অমূল্য সম্পদ। এতে বর্ণিত ওলি-আল্লাহদের জীবনী শুধু অতীতের কাহিনী নয়, বরং বর্তমান সময়ের মানুষকেও আল্লাহর পথে চলার সাহস ও দিকনির্দেশনা দেয়। এ গ্রন্থ পাঠককে আমল, ঈমান এবং অন্তরের শুদ্ধতার পথে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে উদ্বুদ্ধ করে।
অতএব, “তাজকিরাতুল আওলিয়া” সেই মহাকাব্য, যা আধ্যাত্মিক অভিযাত্রীদের জন্য এক অবিস্মরণীয় সঙ্গী। এটি একদিকে ঐতিহাসিক, অন্যদিকে আধ্যাত্মিক সম্পদ, যা যুগ যুগ ধরে আলোর পথ দেখিয়ে চলেছে।
Reviews
There are no reviews yet.