Description
আল কুরআন—যা আমরা নাযিলকৃত শব্দমালায় দেখি, তিলাওয়াত করি, মুখস্থ রাখি—তা কি শুধুই এক পাঠযোগ্য কিতাব? নাকি এর পেছনে রয়েছে এমন এক অনন্ত স্বরূপ, যা শুধু ভাষায় নয়, প্রকাশ পায় সৃষ্টিজগতের প্রতিটি বিন্দুতে, এমনকি প্রিয়নবী ﷺ-এর দীপ্তময় সত্তাতেও?
“দো কুরআন”—এই নামেই নিহিত রয়েছে এক যুগান্তকারী ধারণা:
যে কুরআন আমরা মুসহাফে পড়ি, আর যে কুরআন আমরা প্রকৃতির মাঝে অনুভব করি—তারা আলাদা নয়, বরং একক ঐশী বাণীর দুই পরিপূরক প্রকাশ। একদিকে তা আকাশ থেকে নাযিল হওয়া লিপিবদ্ধ কিতাব, অন্যদিকে তা বিস্ময়করভাবে ছড়িয়ে রয়েছে ফুলের গন্ধে, নক্ষত্রের দীপ্তিতে, মানুষের আত্মায়—এমনকি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর পবিত্র মুখমণ্ডলের দীপ্ত আলোতেও।
এই বই পাঠককে আহ্বান জানায় বাহ্যিক পাঠের সীমা ছাড়িয়ে সেই অভ্যন্তরীণ উপলব্ধির জগতে প্রবেশ করতে, যেখানে কুরআন শুধু উচ্চারিত শব্দ নয়, বরং জীবন্ত এক নূর, এক স্পন্দনশীল অস্তিত্ব। কুরআনের এ স্বরূপ বোঝার জন্য লেখক আলোকপাত করেছেন এক গভীর তাত্ত্বিক কাঠামোর ওপর—যা তৈরি হয়েছে হাদীসের আলোকে, তাফসীরুল হাদীস বিল হাদীস পদ্ধতিতে, আধ্যাত্মিক কাশফ ও ঈমানী অন্তর্দৃষ্টি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে।
বইটির একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো নবী করিম ﷺ-এর সুরতের সঙ্গে কুরআনের রূপগত মিল ব্যাখ্যা। হাদীসের দলীলসহ তুলে ধরা হয়েছে—কীভাবে সাহাবায়ে কেরাম তাঁর চেহারায় দেখেছেন সেই আলো, সেই পৃষ্ঠা, সেই প্রকাশ—যা মুসহাফে লিখিত কুরআনেরই এক জীবন্ত রূপ।
এই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে “হাকীকী কুরআন” বা “যিন্দা কুরআন”—যেখানে কুরআনের প্রকৃত মাহাত্ম্য ধরা পড়ে এমন এক সত্তায়, যিনি ছিলেন কুরআনের সরাসরি প্রতিফলন। এটি কেবল একটি ভাবগত উপমা নয়; বরং আধ্যাত্মিক উন্মোচনের (কাশফ) মাধ্যমে সাহাবীগণ যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন, তারই বিশ্লেষণ।
Reviews
There are no reviews yet.