Description
সুফিবাদের কিংবদন্তি মহা তাপসী মহীয়সী নারী হযরত রাবেয়া আল-বসরী (রা.)। তিনি বিশ্বের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ আউলিয়াদের অন্যতম। ঐতিহাসিকভাবে জানা যায় তিনি হযরত হাসান আল-বসরী (রা.)-এর হাতে বায়াত গ্রহণ করেছিলেন। প্রেমাস্পদের প্রতি গভীর প্রেম ও সাধনাবলে মহা তপস্বিনীর খেতাবে ভূষিত হয়ে যিনি আল্লাহ-প্রেমে দগ্ধীভূতা, সংসার বিরাগিনী ও আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত মহান সাধ্বী রমণী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। পিতার চতুর্থ কন্যা ছিলেন বলে তাঁর নাম রাখা হয় রাবেয়া। আরবি ভাষায় রাবেয়া অর্থ চতুর্থ। তিনি বসরার অধিবাসী ছিলেন। হযরত রাবেয়া বসরী (রা.) বয়োঃপ্রাপ্ত হলে তাঁর পিতামাতা ইন্তেকাল করেন। ফলে দাসীরূপে এক অত্যাচারী মুনিবের বাড়িতে তাঁর আশ্রয় জোটে। সেখানে তাঁকে অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করতে হয়। কথিত আছে, তিনি দিবারাত্র এক হাজার রাকাত নামায আদায় করতেন। হযরত খাজা হাসান বসরী (রা.) তাঁকে খুবই প্রীতির চোখে দেখতেন। তিনি নিষ্কাম প্রেমের দ্বারা আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের পক্ষপাতী ছিলেন। ১৬০ হিজরীতে তাঁর ইন্তেকাল হয়। তাঁর ইন্তেকালের সময় শিয়রে উপবিষ্ট বুজুর্গানদিগকে তিনি বাইরে যেতে বলেন। সবাই বাইরে গেলে গায়েবী থেকে পবিত্র কুরআনের মধুর বাণী ভেসে আসে, “হে পরিতৃপ্ত আত্মা! তুমি সন্তুষ্টচিত্তে আমার দিকে প্রত্যাবর্তন করো।” ভিতরে এসে সবাই দেখতে পেলেন, হযরত রাবেয়া আল-বসরী (রা.) মহান আল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীদারে এলাহীর মহামিলনের জন্য ইহলোক পরিত্যাগ করে পরম প্রেমাস্পদ আল্লাহ্র কাছে চলে গেছেন।
গ্রন্থটি সকল প্রেমিক হৃদয়ের আত্মার খোরাক যোগাতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস।
-মোস্তাক আহমাদ
Reviews
There are no reviews yet.