Description
মানুষের চেতনায় একটি আলো আছে যা যেকোনো বাহ্যিক বস্তু (জাহির) বা সত্তার সুপ্তাবস্থার অভ্যন্তরীণ মাত্রা (বাতিন) পর্যবেক্ষণ করতে পারে। গুপ্ত জগতের (গায়েব) পর্যবেক্ষণ বাহ্যিক জগতের যেকোনো সত্তাকে প্রকাশ করতে পারে। অন্য কথায়, যখন আমরা কোনো সত্তার গুপ্ত বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করি তখন এর বাহ্যিক রূপ আর আমাদের থেকে লুকায়িত থাকে না। এই প্রক্রিয়ায়, বাহ্যিকের সীমানা মানুষের চেতনায় প্রকাশিত হয় এবং কোথা থেকে এই বাহ্যিকের উদ্ভব হয়েছে তা জানার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান জানার জন্য আবশ্যক যে, একজন ব্যক্তি তার সমস্ত মানসিক দক্ষতা একটি বিন্দুতে নিবদ্ধ করবে। যখন কেউ প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও বিশুদ্ধ কর্মস্পৃহা-সহযোগে ধ্যান করে তখন চেতনা-বিন্দু (নুকতায়ে ফিকির) সক্রিয় হয় এবং নিজের মধ্যে এর অর্থ ও অভ্যন্তরীণ মাত্রা প্রকাশ করে।
মানুষ হলো এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় বিস্ময়, কিন্তু সে নিজের মূল্য সম্পর্কে অমনোযোগী এবং বিশ্বাসের অভাবের কারণে স্বজাত-রহস্যে অজ্ঞাত। মানুষ ভেতরে ও বাইরে রহস্যময় এক মহাবিশ্বের উপাদানের প্রতিনিধি। যখন মানুষ নিজেকে নিয়ে গভীর চিন্তা করে, অর্থাৎ ধ্যানমগ্ন হয় তখনই সে বিস্ময়কর চোখধাঁধানো রহস্যের সন্ধান পায়। মানুষের আত্মার রহস্য ও এর জ্ঞাত-অজ্ঞাত শক্তিসমূহ উন্মোচন করতে ‘সুফি মেডিটেশন’ বইটি অপরিহার্য।
আমরা ইতিহাসের গতিপথে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে এটি ক্রমবর্ধমানভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে ধ্যান এবং মননশীলতা আধ্যাত্মিক অনুসারীদের জন্য কেবল বিলাসিতা বা রহস্যময় অনুশীলন নয়, বরং সাধারণ মানুষের জীবনে মেডিটেশন একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় বিষয় হয়ে গেছে। ক্রমবর্ধমান স্ট্রেস এবং সংযোগ বিচ্ছিন্নতার মাত্রার সাথে সাথে ধ্যান এবং মননশীলতা চর্চা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রকে উন্নত করে তোলে এবং এটি একটি মৌলিক অনুশীলন যার উপর জীবনের শ্রেষ্ঠত্ব নির্মিত।
Reviews
There are no reviews yet.