Description
“মা’রিফাতের মর্মকথা – আর রিসালা ইলার রাযী” হলো আধ্যাত্মিক জগতের এক দুর্লভ মণিমুক্তা, যা সময়ের দুই মহান ইলমের দরবেশ—তাফসিরশাস্ত্রের মহাবিশারদ ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী (রহ.) এবং মারিফাত ও তাসাউফের সুউচ্চ শিখরে অবস্থানকারী সুলতানুল আউলিয়া মুহিউদ্দীন ইবনুল আরাবী (রহ.)—এর মধ্যে এক গভীর আত্মিক চিঠিপত্রের প্রকাশ।
এই পত্রটি কেবল একটি ব্যক্তিগত বার্তা নয়, বরং একটি জ্ঞানের গুহায় প্রবেশের সোপান, একটি দরজা যা পাঠককে নিয়ে যায় আল্লাহর নামসমূহের রহস্যময় জগতে।
এই গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে কিভাবে মহান আল্লাহ আমাদের সামনে প্রকাশিত হন তাঁর ভিন্ন ভিন্ন নাম তথা “আল-আসমাউল হুসনা”-এর মাধ্যমে—কখনো রাহীম, কখনো কাদীর, কখনো গাফফার, কখনো মুনতাকিম। যদিও তিনি স্বীয় সত্তায় একক ও অদ্বিতীয়, তাঁর গুণাবলী বা সিফাতসমূহ আমাদের কাছে নানা রূপে প্রতিভাত হয়। এই প্রতিফলন কখনো করুণা, কখনো ন্যায়বিচার, আবার কখনো দয়া ও ভালোবাসার রূপে প্রকাশ পায়।
গ্রন্থটি এমন এক শিক্ষার পথ উন্মোচন করে, যেখানে পাঠক শিখে যান, কিভাবে আল্লাহর নামের প্রতি গভীর মনোযোগ, উপলব্ধি ও আত্মস্মরণ তাঁকে নিয়ে যায় আল্লাহর সান্নিধ্যের এক উচ্চতর স্তরে।
শাইখ ইবনুল আরাবী (রহ.) ব্যাখ্যা করেছেন, একজন মানুষ যখন আল্লাহকে ডাকেন “হে আল্লাহ!”, তখন প্রকৃতপক্ষে তাঁর অন্তরের গভীরে প্রতিফলিত হয় এক বা একাধিক নির্দিষ্ট গুণনাম। যেমন কেউ দুঃখে কাতর হয়ে “হে আল্লাহ!” বললে, তিনি হয়তো “রাহমান” বা “মুক্তিদাতা” রূপেই ডেকে থাকেন, যা হয়তো তাঁর অচেতন মনেই প্রতিফলিত। আর এই গুণানুযায়ীই আল্লাহ বান্দার প্রতি সাড়া দেন।
এই শিক্ষা হৃদয়ের দরজা খুলে দেয়, যা বলে দেয়—তুমি আল্লাহকে যেমন ডাকো, আল্লাহও তেমনই তোমার কাছে আসেন।
এ বই শুধুই ধর্মতত্ত্ব বা ফিকহ নয়; এটি এক ধ্যান, এক আত্মজিজ্ঞাসা, এক আলোড়ন। এটি আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গঠনের মৌলিক দিকটিকে উপলব্ধির আলোকে নতুনভাবে বুঝিয়ে দেয়।
সাইয়্যেদ ফাহীম সারওয়াত মুনায়েমী দায়েমী তাঁর ব্যাখ্যায় বইটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যাতে একজন সাধারণ পাঠকও এই গভীর আধ্যাত্মিক চিন্তার স্রোতে প্রবেশ করতে পারেন সহজে, স্পষ্টভাবে ও ভাবগম্ভীরতার সঙ্গে।
Reviews
There are no reviews yet.