Description
আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত মুসলিম দেশ ঘোরা শেষ ইবনে বতুতার। হিন্দুস্থানে আসার পর সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক তাঁকে মালেকি মাজহাবের ইমামের পদ দান করলেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর সুলতান তাঁকে চীন সম্রাটের কাছে পাঠান দূত হিসেবে। কিন্তু তিনি সোজা চীনে না গিয়ে গেলেন মালদ্বীপ। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা হয়ে আরেকবার ভারত-মালদ্বীপ ঘুরে রওনা দিলেন বাংলায়। উদ্দেশ্য একটাই- বঙ্গ-বিখ্যাত দরবেশ শাহ জালালের সান্নিধ্য লাভ।
পৃথিবী-বিখ্যাত একজন পর্যটকের এমন কাণ্ডের পর সহজেই অনুমান করা যায় যে, শাহ জালাল কত মহান ও বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন। অর্থাৎ, আজকের বাংলাদেশেই কেবল নয়; তিনি বিখ্যাত ছিলেন আজ থেকে সাত’শ বছর আগে তাঁর জীবদ্দশায়ও। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমরা তাঁকে কতটুকু জানি? তাঁর জীবন কি শুধুই গৌড় গোবিন্দের সাথে এক টুকরো যুদ্ধে কিংবা জালালি কবুতরের গল্পে সীমাবদ্ধ? জায়নামাজে চড়ে নদী পার হবার একটি ঘটনাতেই কি তাঁর মহত্ত্ব নিহিত? তিনি ইয়ামেন থেকে বাংলায় এসেছেন-কাহিনি কি এখানেই শেষ?
নাকি তাঁকে জানার মতো আরও কিছু আছে? মধ্যপ্রাচ্যের বিখ্যাত সব প্রাচীন শহর তথা বাগদাদ, তাবরিজ, সিরাজ কেন তাঁর জীবনে প্রাসঙ্গিক? কেন বর্তমান পাকিস্তানের মুলতান কিংবা ভারতের দিল্লি-আজমির-পশ্চিম বঙ্গ তাঁর জীবনে প্রাসঙ্গিক? কেন তাঁর আলোচনা করতে গেলে বাংলার ইতিহাস আর বিশ্ব-ইতিহাসের পাতা একত্রে টান দিতে হয়? কেন একজন দরবেশ হয়ে উঠেন বাংলার ইতিহাসের অপরিহার্য অংশ? এ সবকিছুর উত্তর আছে ভেতরের পাতায়। আপনি হাঁটতে চলেছেন ইতিহাসের এমন পাতায় যার পরতে পরতে রোমাঞ্চে ভরপুর। আপনাকে অভিনন্দন!
Reviews
There are no reviews yet.